অল্প পুঁজিতে বিরাট লাভ , পকেটে আসবে লক্ষ লক্ষ টাকা, এখনই শুরু করুন ‘ সবুজ সোনার ‘ ব্যবসা -New Business Idea

খাঁটি সোনা – পাকা সোনা – গহনা সোনার কথা শোনা যায় অকছর । কিন্তু সবুজ সোনার কথা শুনেছেন কখনো ? প্রশ্নটা বেশ মজাদার আবার বেশ কৌতূহল ও বটে । তবে উত্তর টা জানলে হয়তো অনেক মানুষই চমকে যাবেন । আসলে কৃষি আমাদের ভিত্তি আর শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ । কয়েক দশক আগের স্লোগান । তবে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি কৃষি । অর্থাৎ কৃষিকে হাতিয়ার করেই আবর্তিত দেশের অর্থনৈতিক পরি কাঠামো। আর কৃষিকাজের উৎপাদিত পন্যের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ‘সবুজ সোনার’ রহস্য । শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা একেবারে সত্যি । তাহলে আসুন সবুজ সোনা আসলে কি তা যেমন জেনে নেওয়া যাক তেমনি এই সবুজ সোনা বর্তমান বাজারে আপনার ভাগ্য বদলে দিতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক । 

সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি – কিংবা সরকারি, চাকরির বাজারের অবস্থা বেশ করুন ।  এই অবস্থায় বিগত কয়েক বছর ধরে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে বেশির ভাগ বেকার যুবক – যুবতীরাই ব্যবসাকে রেখেছেন তাদের পছন্দের তালিকায় । যতই হোক চাকরিতে ধরা বাঁধা মাস মাইনা । তার ওপর পরের গোলামী । তাই সাধ্য মতো যদি নিজের একটা ব্যবসা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করা যায় তাহলে তার থেকে যেমন ইনকাম ও হবে তেমনি নিজের ইচ্ছামতো চলা যাবে । কিন্তু প্রতিবেদনটি পড়াকালীন হয়তো আপনার মনে এই প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে  এর সঙ্গে ‘সবুজ সোনার ‘ কি সম্পর্ক । এক কথায় বলতে গেলে সম্পর্ক আছে বৈ কি । 

আজ আমরা সেই সকল বেকার যুবক- যুবতীদের সামনে সবুজ সোনার সঙ্গে ব্যবসা আর মোটা টাকা ইনকামের সহজ পথ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। প্রথমেই আসি ‘সবুজ সোনা’  আসলে কি । যে কোনও উৎসব – আচার অনুষ্ঠানে বেশির ভাগ বাড়িতেই এই সবুজ সোনার ব্যবহার হয় অকছর । সবুজ সোনার আর এক নাম হল ‘পান ‘ অর্থাৎ ‘পান পাতা’ (Betel Leaf)  । এই পান পাতা যেমন জড়িয়ে রয়েছে কৃষি কাজের সঙ্গে তেমনি অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে ব্যবসার সঙ্গে । 

আপনি যদি মনে মনে ঠিক করেছেন কোনও ব্যবসা করবেন তাহলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সবুজ সোনা অর্থাৎ পান পাতার ব্যবসা করে আপনি মালামাল হতে পারেন খুব সহজে । কিন্তু কিভাবে ? তাহলে আসুন বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে জেনে নেওয়া যাক । 

যদি এক একর জমিতে পান চাষ করা যায় তাহলে সব কিছু বাদ দিয়ে প্রতি ক্ষেপে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব । এর জন্য অবশ্য পানের বোরোজ তৈরি করতে হবে । তার জন্য প্রয়োজন পাট কাঠি । এই পাট কাঠি ব্যবহার করে আলো আঁধারি পরিবেশে পানের বোরোজ তৈরি করে পান গাছ চাষ করা হয়। এক্ষেত্রে এক একর জমিতে প্রায় ৩০ লক্ষ পান গাছ চাষ করা যায় । তা থেকেই কয়েক লক্ষ টাকার পান পাতা পাওয়া যায় সহজে । 

এবার ওই পান পাতা যেকোনো  উৎসবে – আচার অনুষ্ঠানে মন্দিরে – ফুল ও ফল বিক্রেতা মুদি দোকান সরাসরি পানের দোকানে বিক্রি করে প্রচুর টাকা কামিয়ে নিতে পারেন সহজে । তবে এক্ষেত্রে যদি পাইকারি বাজার ধরা যায় তাহলে তো আর কথায় নেই । বর্তমানে পানের ব্যবহার প্রশ্নাতীত । মিঠা পাতা বা বাংলা পাতা দু’ ধরণের পানেরই চাহিদা রয়েছে বাজারে । তবে শুধু আচার – অনুষ্ঠানই নয় বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও পানের ব্যবহার বহু মাত্রায় ।  

বর্তমানে আমাদের রাজ্য ছাড়াও দেশের একাধিক রাজ্যের কৃষকরা অন্যান্য কৃষিজ পন্যের পাশাপাশি পানের চাষ করে মোটা অঙ্কের লাভের মুখ দেখছেন । এমনকি যে সমস্ত এলাকায় বৃষ্টি পাতের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি সেখানে পানের চাষ করা যায় খুব সহজে ।  ভেজা স্যাঁতসেঁতে মাটি যেমন পান চাষের পক্ষে উপযোগী তেমনি ১০ থেকে ২০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় পান চাষের পক্ষে আদর্শ । রোপণ করার মাত্র ১২০ দিন পর পান গাছ উপযোগী হয়ে ওঠে ।  এমনকি কোনও রাসায়নিক ছাড়াই শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে পান চাষ করে সবুজ সোনায় মুড়িয়ে ফেলুন আপনার কর্ম জীবন । 

এই ধরণের ব্যবসার আকর্ষণীয় টিপস পেতে ফলো করুন bongodhara.com 

written by – Somnath Pal . 

Join Telegram Channel : Click Here

TAG – #NEW IDEA #BUSINESS #SELF EMPLOYMENT TIPS #INCOME #BETEL LEAF

Leave a Comment