কৃষি আমাদের ভিত্তি আর শিল্প ভবিষ্যৎ । আর হবে নাই বা কেন । কারণ একেবারে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কৃষিকে হাতিয়ার করেই চলছে গোটা দেশের অর্থনীতি । আর যুগ বদলাচ্ছে । পরিবর্তিত যুগের সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে চাষ আবাদের পদ্ধতিও । এই যেমন ধরাযাক চন্দন কাঠের চাষ আবাদ বা ব্যবসা । আগে যেমন চন্দন কাঠ চাষে সরকারি বিধি নিষেধ ছিল । বর্তমানে গোটা বিশ্বের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উৎপাদন বাড়াতে খোদ সরকারই অনুমতি কিংবা উৎসাহ দিচ্ছে চন্দন গাছ লাগানোর জন্য । শধুই কি উৎসাহ, এর সঙ্গে কেউ যদি নিজের বাড়িতে অথবা জমিতে চন্দন কাঠ চাষ করতে চান তাহলে সরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্য পাবেন সেই ব্যক্তি । New Business Idea
একেবারে প্রাচিন কাল থেকে আজ পর্যন্ত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হোক বা সুগন্ধি দ্রব্য চন্দন কাঠের গুরুত্ব অপরিসীম । তার ওপর আমাদের দেশের চন্দন একাধিক প্রকার যেমন লাল – হলুদ – সাদা চন্দন কাঠের খ্যাতি গোটা বিশ্ব জোড়া । কিন্তু গোটা পৃথিবীর চাহিদার তুলনায় যোগান খুব কম । তাই আগে চন্দন চাষে সরকারি ভাবে অনেক বিধি নিষেধ কিংবা কড়া নিয়মের গেরো থাকলেও বর্তমানে তা অনেকটাই তা সহজ হয়েছে । এক সময় গোটা দেশের দক্ষিণ অংশ অর্থাৎ দক্ষিণ ভারতেই এই চন্দন কাঠ চাষের আধিক্য থাকলেও লাভ জনক এই চাষ আবাদ বর্তমানে দেশের উত্তর অংশ অর্থাৎ উত্তর ভারত কেও ছুঁয়ে ফেলেছে । বর্তমানে উত্তর ভারতের কৃষক রাও নানা প্রকারের চন্দন কাঠ চাষ করছেন বিলকুল ।
তবে চাষ যে কেউ করতে পারলেও , চন্দন কাঠ কিন্তু কাটার ব্যবহার রয়েছে সরকারের হাতেই । যেমন আপনি যদি আপনার বাড়িতে বা নিজের জমিতে চন্দন গাছ লাগান । সেই গাছ বড় হলে আপনি তা কাটতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না । চন্দন গাছ কাটার বা ব্যবহারের অধিকার রয়েছে সরকারের হাতেই । এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে আপনার লাভ কি ? লাভ তো অবশ্যই রয়েছে । যেমন চন্দন গাছ বড় হলে তা কাটার জন্য যেমন আপনাকে খবর দিতে হবে স্থানীয় বন দফতরে । তবে বন দফতর ওই গাছ কেটে নিয়ে গেলেও রীতিমতো বাজার মুল্য চোকাতে হবে চন্দন কাঠ বা গাছের মালিক কে । সে ক্ষেত্রে সরকারি মুল্য হিসাবে ওই ব্যক্তি পাবেন প্রচুর টাকা । তাহলে টাকা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই ।
এবার প্রশ্ন হল আপনি আপনার বাড়িতে কিভাবে চন্দন কাঠের চাষ করবেন ?
আপনি যদি জৈবভাবে চন্দন চাষ করেন তবে আপনি ১০-১৫ বছরের মধ্যে কাটা কাঠ পাবেন। অন্যদিকে চন্দন গাছ ঐতিহ্যগতভাবে জন্মাতে পারলে ২০-২৫ বছর সময় লাগতে পারে। লাল এবং সাদা/হলুদ ২ ধরনের চন্দন গাছ আছে। লাল চন্দন দক্ষিণ ভারতে এবং সাদা চন্দন উত্তর ভারতে জন্মে। এটিতে খুব বেশি আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় না। চন্দন গাছের পাশাপাশি অন্য যে কোনো গাছও ৩-৪ ফুট দূরত্বে লাগানো যায়। এর কারণ হল চন্দন শুধুমাত্র অন্যান্য গাছ থেকে এর পুষ্টি গ্রহণ করে। চন্দন গাছের চারপাশে কোনও দূষণ থাকা উচিত নয়, অন্যথায় এর বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। চন্দন গাছ যত বড় জায়গায় লাগাবেন, তত বেশি লাভ হবে। ২-২.৫ বছরের একটি চন্দন গাছ ১৫০-২০০ টাকায় পাওয়া যাবে। আপনি ১ হেক্টরে ৬০০টি গাছ লাগাতে পারেন। গাছটি ১০-১৫ বছরের মধ্যে কাঠের জন্য উপযুক্ত হবে। এর প্রতিটি গাছ বিক্রি হয় দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত। আপনি যদি ২ লক্ষ টাকা ধরে যান, তাহলে আপনি ৬০০টি গাছ থেকে ১২ কোটি টাকা পেতে পারেন। তাহলে আর দেরি নাকরে এখনই নিজের বাড়িতে অথবা জমিতে লাগিয়ে ফেলুন নানা প্রকারের চন্দন গাছ । কে বলতে চন্দনের সুগন্ধেই ভরে উঠতে পারে আর্থিক জীবন ।
এই ধরণের আকর্ষণীয় টিপস পেতে নজর রাখুন bongodhara.com -এ
written by – Somnath Pal .
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #BUSINESS #NEW IDEA #MAKING MONEY #SELF INCOME TIPS #CHANDAN TREE