গোটা দেশে বেকারত্বের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখি । সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতার অন্ত নেই । দিনের পর দিন বেকারের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়ছে চাকরির বাজারে । এই অবস্থায় আপনি চাইলেই যে মনের মতো একটা চাকরি জুটিয়ে নেবেন তা বোধ করি বেশ কঠিন । তার ওপর চাকরিতে যেমন ধরা বাঁধা মাস মাইনা, তেমনি পরের গোলামী । তার থেকে বরং ঢের ভালো ব্যবসা । তাও যদি হয় নিজের তা হলে তো আর কথায় নেই । কিন্তু ব্যবসা করতে গেলেও রয়েছে হাজার বিপত্তি । প্রথমত যেমন পুঁজি কিংবা মূলধন তেমনি টাকা খাটিয়ে ব্যবসা করলেই যে আপনি লাভের অংক ঘরে তুলতে পারবেন এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই । এক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় যদি পরিকল্পনা মতো স্বল্প পুঁজিতে ছোটোখাটো ব্যবসা শুরু করা যায় তাহলে নিশ্চিত সাফল্য আসতে খেত্রেতবে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া প্রয়োজন । তাই আজ আমরা বেকার যুবক – যুবতীদের উদ্দেশ্যে এমন এক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছি যে ব্যবসায় প্রথম অবস্থায় বিনিয়োগের পরিমাণ যেমন বেশ কম তেমনি এই ব্যবসায় আপনি পাবেন সরকারি সাহায্য । তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক বর্তমানে কোন ব্যবসায় সরকার আপনাকে সাহায্য করবে পুরোমাত্রায় ।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অল্প পুঁজিতে মাত্র হাজার পাঁচেক টাকা ইনভেস্ট অর্থাৎ বিনিয়োগ করে মাটির ভাঁড়ের ব্যবসা করা যেতে পারে । কারণ গোটা দেশের বাজারে আগামী দিনে এই মাটির ভাঁড়ের চাহিদা বাড়বে নিশ্চিত । বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আপনি যদি এই মাটির ভাঁড়ের যোগান দিতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না । আপনার ব্যবসা চলবে গম গম করে ।
সম্প্রতি ভারত সরকারের তরফে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে সিঙ্গল বা ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি অরা হয়েছে । এ বিষয়ে আগামীতে পরিবেশ আইন আরও কঠোর করতে চলেছে ভারত সরকার । কারণ ওয়ান টাইম বা সিঙ্গল ইউজ প্লাস্তিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে । সব কিছু ঠিক থাক থাকলে আগামী ১ লা জুলাই থেকে গোটা দেশের আনাচে কানাচে বন্ধ হতে চলেছে এই সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার । ফলে দেশের রেল ষ্টেশন কিংবা বাস ডিপো , অথবা বিমান বন্দর চত্বরে পাশাপাশি রাস্তা ঘাটের টি স্টল গুলিতে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের চায়ের ভাঁড় যে আর মিলবে না সে কথা হলফ করে বলা যায় । এই অবস্থায় টি স্টলের জন্য সর্বত্র চাহিদা বাড়তে পারে পরিবেশ বান্ধব মাটির ভাঁড়ের ।
এ ছাড়াও যেকোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে অথবা হোটেল রেস্তরা তে জল পানের পাত্র হিসাবে মাটির ভাঁড়ের চাহিদা বাড়তে পারে । এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন , আপনি যদি এখনই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে আগামী তে আপনার ব্যবসা যেমন বাড়বে তেমনি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আপনার ব্যবসা থেকে লাভের পরিমাণও বেড়ে যাবে কয়েক গুন ।
এই ব্যবসায় কি ধরণের পুঁজি আর কাঁচামাল প্রয়োজন ?
এই ব্যবসা আপনি যেমন খুব কম পুঁজিতে শুরু করতে পারেন । তার ওপর রয়েছে সরকারি সাহায্য । যেমন এই ব্যবসার প্রধান কাঁচামাল মাটি । ভালো মানের মাটি পুকুর অথবা নদী পাড় থেকে অল্প দামে পাওয়া যেতে পারে । দ্বিতীয় কাঁচামাল হল ছাঁচ। যে সাইজের মাটির ভাঁড় বানাতে চান, সেই মাপ অনুযায়ী বাজার থেকে ছাঁচ কিনে নিতে পারেন। মাটির ভাঁড় তৈরি হয়ে গেলে তা মজবুত করার জন্য তাকে আগুনে পোড়াতে হয়। এর জন্য একটি বড় আকারের চুল্লি প্রয়োজন। পাশাপাশি রয়েছে মাটির ভাঁড় তৈরির জন্য সরকার বৈদ্যুতিক চাকা দিয়ে থাকে। যার সাহায্যে আপনি সহজেই মাটির ভাঁড় তৈরি করতে পারেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের খাদি গ্রামশিল্প কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা দিন কয়েক আগে জানিয়েছেন, বিগত ২০২০ সালে কেন্দ্ৰীয় সরকার মাটির ভাঁড় তৈরির জন্য গোটা দেশে ২৫ হাজার বৈদ্যুতিক চাকা বিতরণ করেছে।
এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণ কি রকম ?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক কঠোর ভাবে বন্ধ হলে মাটির ভাঁড় ছাড়া বিকল্প নেই । বাজারে ১০০ পিস চা পানের মাটির ভাঁড়ের দাম ৫০ টাকা । আর দুধ- লস্যি কিংবা ঠাণ্ডা পানিয়ের মাটির ভাঁড়ের দাম ১৫০ টাকা প্রতি ১০০ পিস । তবে আগামী দিনে এই মাটির ভাঁড়ের চাহিদা অনুযায়ী আপনি যদি মাল সরবরাহ করতে পারেন তাহলে বাজার নিয়ে আপনার কোনও চিন্তার কারণ নেই । তাই অল্প পুঁজিতে সরকারি সাহায্যে এখনই শুরু করুন আপনার নিজের ব্যবসা ।
এই ধরণের ব্যবসার আকর্ষণীয় টিপস পেতে নজর রাখুন bongodhara.com – এ
Written by – Somnath Pal .
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #SELF INCOME TIPS #BUSINESS # NEW IDEA #MAKING MONEY