কলকাতা – দুর্নীতি আর বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না । গোটা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান হাল টা এই রকমই । ফলত প্রাথমিক শিক্ষায় পঠন পাঠন প্রায় শিকেয় ওঠার জোগাড় । রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল গুলিতে সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে শিক্ষাকতার সিদ্ধান্তেই শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন করে বিতর্কের সুত্র পাত । এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই গোটা রাজ্য জুড়ে জল্পনার পাশাপাশি বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজ্যের শাসক দলকে একে বারে তুলোধোনা করে ছাড়ছে । তবে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর থেকে জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কৈফিয়ত তলবে আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে বর্তমান সরকারের ।
বিতর্কের মাঝেই রাজ্যের প্রাথমিক – উচ্চ প্রাথমিক – মাধ্যমিক স্কুল গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের দিনক্ষণ বেধে দিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু । বৃহস্পতিবার সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষা মন্ত্রী জানান , এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে যাবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। তারপর ধাপে ধাপে সর্বস্তরেই শুরু হবে শিক্ষক নিয়োগ। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান , “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের রুল বদলের কাজ চলছিল। সেটা হয়ে গিয়েছে। টেট পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ শুরু হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে ১১ বা ১২ হাজার নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ করবে। অন্যদিকে SSC তাদের রুল বদলের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে। প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ এপ্রিল মাস থেকে হবে। তারপর ধাপে ধাপে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও দ্রুত পর্যায়ক্রমে নিয়োগ হবে।”
ফলত শিক্ষা মন্ত্রির এই আশ্বাসের পরই আপাতত সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে প্রাথমিকে পঠন পাঠন জারি রাখার সিদ্ধান্ত আপাতত বিশ বাঁও জলে । এ বিষয়ে আলকপাত করে শিক্ষা মন্ত্রী এদিন জানান , এ বিষয়ে ‘স্কুল শিক্ষা দফতরের অনুমোদন ছিল না।’ বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত , গত ১৮ ই জানুয়ারি বাকুরা জেলার পুলিশ সুপার জেলাশাসক কে চিঠি লিখে জানান ওই জেলার খাতরা সাবডিভিশনের অধীনে পাচতি থানা এলাকার মোট ৪৬ টি প্রাথমিক স্কুলে সিভিক ভলান্টিয়রা ছাত্র -ছাত্রীদের অংক – ইংরাজি পড়াবেন । ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ১৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার কে এই কাজে নিযুক্তির জন্য বাছাই ও করা হয়ে গিয়েছে । এরপরই বাঁকুড়া জেলার পুলিশ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয় গোটা রাজ্য জুড়ে । প্রবল বিতর্কের মুখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আপাতত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কারন হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের কোনও অনুমোদন নেয়নি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন” । স্বভাবতই গতকাল এই খবর চাউর হতেই শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈন জেলা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেন । কেন অনুমোদন নেননি তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।
written by – Somnath Pal .
More Job News : Click Here
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #EDUCATION #PRIMARY #TEACHER #RECRUITMENT