নয়াদিল্লী – নয় নয় করে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক টা বছর । সেই কবে কার কথা । ২০১৪ সালে কেন্দ্রের মসনদে বসে গোটা দেশবাসীর জন্য একের পর এক জনমুখি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার । তালিকাটা বেশ লম্বা । একেবারে শিশু জন্মানোর পর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষের জন্য মোদী সরকারের ভাবনার অন্ত নেই । যেমন ধরুন সাড়া দেশের মানুষ কে ব্যাঙ্ক মুখি করে তুলতে জিরো ব্যালেন্সে ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা’ কিংবা ‘মানধন যোজনায়’ হোক কিংবা দেশের প্রান্তিক কৃষক ভাইদের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি’ থেকে শুরু করে দেশের মহিলাদের জন্য ‘পেনশন প্রকল্প’ পাশাপাশি মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে গোটা দেশ জুড়ে ‘সেলাই মেশিন বিতরণ’ অথবা দেশের গরীব মানুষ কে আর্থিক ভাবে সুরক্ষিত ও নিরাপত্তা দিতে ‘অটল পেনশন যোজনা’ থেকে শুরু করে কন্যা সন্তান নিয়ে বাবা মায়ের ভাবনা দূর করতে ‘সু-কন্যা সমৃদ্ধি যোজনা’ এমনকি দেশের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য ‘রোজগার মেলা’ কিংবা ‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’ থেকে শুরু করে গরীব মেধাবী ছাত্র – ছাত্রী বা পড়ুয়াদের জন্য ‘ন্যাশেনাল স্কলারশিপ’ , এ সবই দেশের মানুষের সার্বিক কল্যানের জন্য ।
এবার সেই তালিকায় সংযোজন হল প্রধানমন্ত্রী মোদীর মস্তিস্ক প্রসূত আরও এক জনমুখি প্রকল্প । এই প্রকল্পের আওতায় দেশের যে কোনও নাগরিক পেতে পারেন নগদ ২০ হাজার টাকা । কেন্দ্র সরকার মারফৎ চালু হওয়া এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয় পরিবার (NATIONAL FAMILY BENIFIT SCHEME ) সহায়তা প্রকল্প বা স্কিম’ । আসলে দেশের মানুষের স্বার্থে একাধিক জন মুখি প্রকল্প থাকলেও আম জনতা কিন্তু সেই প্রকল্প গুলি সম্পর্কে বিশেষ অবগত নন । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ‘জাতীয় পরিবার সহায়তা’ প্রকল্পের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে ।
১) প্রকল্প টির নাম জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্প বা ন্যাশেনাল (NATIONAL FAMILY BENIFIT SCHEME )ফ্যামিলি বেনিফিট স্কিম ।
২ ) ভারত বর্ষের যে কোনও নাগরিক এই প্রকল্পে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারেন ।
৩) এই প্রকল্পে সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও যোগ্যতার প্রয়োজন নেই ।
৪) এই প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়সের কোনও ঊর্ধ্ব সীমা নেই ।
৫) একমাত্র দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী যে কোনও ব্যাক্তি এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে আবেদনের যোগ্য ।
৬) যদি কোনও ব্যাক্তির মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে ওই ব্যাক্তির যোগ্য উত্তরাধিকারী বা ওয়ারেশ এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন । অর্থাৎ যে ব্যক্তি আবেদন করবেন তাঁকে মৃত ব্যাক্তির যোগ্য উত্তরাধিকারী হতে হবে ।
৭ ) এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে মৃত ব্যাক্তি যদি তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যাক্তি হন তাহলে তার মৃত্যুর পর তার পরিবার এবং উত্তরাধিকারী ব্যাক্তিকে সরকারি ভাবে নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে ।
৮ ) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে ।
৯ ) তবে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মৃত ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে ।
১০) এই প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন(ONLINE) – অফলাইন(OFFLINE) দুভাবেই আবেদন করতে পারেন ।
১১) এক্ষেত্রে ভারত সরকারের নির্দিষ্ট ওয়েব https://nsap.nic.in সাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে । পাশাপাশি জেলা জনকল্যান (District Social Welfare Office) বিভাগের অফিস থেকেও এই প্রকল্পের আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে পারেন ।
Post Office Recruitment :পোস্ট অফিসে বিপুল নিয়োগ, আকর্ষণীয় বেতন রয়েছে
১২) অনলাইনে অথবা অফলাইনে আবেদন করতে হলে আবেদন কারীকে তার আঁধার কার্ড , ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড ইনকাম সার্টিফিকেট , বাসস্থানের প্রমাণ পত্র , ওয়া রেশন সার্টিফিকেট বা উত্তরাধিকারী সংশাপত্র , ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ের বিবরণ সহ পাসপোর্ট সাইজের ছবি , ইমেল আইডির তথ্য ইত্যাদি অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে ।
তাহলে আর দেরি না করে উপরি উক্ত প্রতিবেদনটি ভালো ভাবে খুঁটিয়ে পড়ে নিয়ে এখনই আবেদন করুন ‘জাতীয় পরিবার সহায়তা’ প্রকল্পে । আর ভারত সরকার মারফৎ আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পেয়ে যান এককালীন ২০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা ।
written by – Somnath Pal .
More Job News : Click Here
Telegram Channel : Click Here
TAG – #GOVT #SCHEME #NATIONAL FAMILY BENIFIT SCHEME