কৃষি আমাদের ভিত্তি শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। স্লোগান টা বেশ পুরনো। কিন্তু এর একটা তাৎপর্য আছে। কি সেই তাৎপর্য। আসলে একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষ কৃষি নির্ভর দেশ। ভারতে সবুজ বিপ্লবের সুচনা এই কৃষিকে হাতিয়ার করেই। একেবারে স্বাধীনতার শুরু থেকে আজ ৭৫ বছর পেরিয়ে পরিবর্তিত সব সরকারই কৃষিকেই অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তাই কোনও কিছুর বদলে কৃষি এবং কৃষকদের প্রতি বেশ সহানুভূতিশীল সব সরকারই। তা সে কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপিই হোক এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার কৃষকদের বিষয়ে নো কম্প্রমাইজ।
এই যেমনটি উদাহরণ হিসাবে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে গোটা দেশের কৃষকদের জন্য চালু করা হয়েছে কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প । এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রান্তিক কৃষকরা বার্ষিক ছয় হাজার টাকা ভাতা পান । প্রতিবছর নিয়ম করে দেশের প্রায় প্রতিটি কৃষিজীবী মানুষই তা পাচ্ছেন। তবে শুধু কৃষক সম্মান নিধিই নয় আরও এক ধাপ এগিয়ে দেশের প্রান্তিক চাষি ভাইদের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা মাথায় রেখে কৃষকদের জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকার চালু করেছে স্বল্প(low interest) সুদের ভিত্তিতে কৃষি ঋণ। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের যে কোনও রাস্ট্রায়ত্ব, অর্থাৎ সরকারি, বেসরকারি, সমবায় ব্যাঙ্ক (bank)মারফৎ এই স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন কৃষকরা।
পাশাপাশি এ রাজ্যের ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েক বছর আগেই গোটা রাজ্যের প্রান্তিক চাষি ভাইদের জন্য চালু করেছেন কৃষক বন্ধু নামক জনমুখি প্রকল্প। তবে প্রকল্পটির সুচনা বিগত ২০১৯ সালে হলেও কয়েক বছর প্রকল্পের নাম বদলে যেমন কৃষক বন্ধু হয়েছে তেমনি এই প্রকল্পে সুবিধা ভোগী কৃষকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুন । এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কৃষক দের আর্থিক ভাবে সুদৃঢ় করতে সরকারি তরফে প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয় । কিন্তু একাতা বিষয় বেশ ভাবনার সেটি হল যাদের জন্য রাজ্য সরকার একাধিক জন মুখি প্রকল্প চালু করেছে অর্থাৎ রাজ্যের অনেক চাষি ভাইরা অবশ্য কৃষক বন্ধু প্রকল্প সম্পর্কে বিশেষ অবগত নন । তাই আজ আমরা সেই সকল কৃষক ভাইদের সামনে ক্রমান্বয়ে তুলে ধরবো কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য । তাহলে বিশদে জানতে চটপট চোখ বুলিয়ে নিন নিচের প্রতিবেদনটিতে ।
১) এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রান্তিক চাষি ভাইদের প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা অনুদান হিসাবে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারি তরফে ।
২) প্রকল্পের সুবিধা ভোগী কৃষকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ।
৩) রাজ্যের যে কোনও প্রান্তের কৃষক ভাইরা এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
৪) এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগী কৃষকের মৃত্যু হলে মৃত কৃষকের পরিবার কে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া দেওয়া রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ।
৫) এই প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে আবেদনকারী কৃষকের ব্যাঙ্কে অবশ্যই অ্যা কাউন্ট থাকতে হবে ।
৬) আবেদনের পর ওই কৃষকের অ্যা কাউন্টে সর্ব প্রথমে ২ হাজার টাকা ঢুকলে ওই কৃষকের আবেদন পত্রটি সরকার দ্বারা গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে ।
৭) এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ওয়েব সাইট অথবা সংশ্লিষ্ট মেইল আই ডি krishak. bandhu@ingreens.com গিয়ে আবেদনের যাবতীয় বিবরণ দেখে নিতে হবে । অথবা বিস্তারিত জানতে এই দুটি ফোন নম্বরে (8597974989 অথবা 6291720406 ) যোগাযোগ করে নিতে পারেন ।
৮) এই প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী কৃষক কে তার আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমির যাবতীয় তথ্য সঙ্গে রাখতে হবে ।
তাহলে আর দেরি না করে , আপনি যদি একজন কৃষক হন এবং কৃষি কাজের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত থাকেন তাহলে নগদ ১০ হাজার টাকা পেতে এখনই আবেদন করুন পশ্চিম বঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু ‘ প্রকল্পে ।
written by – Somnath Pal .
More Job News : Click Here
Telegram Channel : Click Here
TAG – #WB #GOVT #SCHEME #KRISHAK BANDHU #PRAKALPA