সময় কি কখনও থেমে থাকে ? আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আপনার বয়স । আবার বয়সকালে মোটা টাকা লাভের আশায় অনেক মানুষই অল্প বয়স থেকেই স্বল্প সঞ্চয়ের পথ খুঁজে নেন । এর কারণ অবশ্য একটাই, সঞ্চয়ের কোনও বিকল্প নেই । তবে বর্তমান সময়ে বিনিয়োগকারীদের মাথাব্যথার কারণ একটাই । সেটি হল কোথায় বিনিয়োগ করলে ভালো হবে । এককালীন বিনিয়োগ (Investment) নাকি ক্ষেপে ক্ষেপে টাকা বিনিয়োগ বেশি লাভ জনক তা বুঝে ওঠা দায় । কারণ বাজারে এখন হাজার রকমের ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান নিয়ে হাজির একগুচ্ছ সংস্থা । কারা কত বেশি দেবে আর কারা কত কম নেবে তাই নিয়েই প্রতিযোগিতার পালা । তবে বিনিয়োগকারী অর্থাৎ ইনভেস্টররা (Investor) অবশ্য বিনিয়োগের আগে সব দিক খতিয়ে দেখেই বিনিয়োগ করেন।Bumper Investment Plan
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে বেসামাল অর্থনীতির চাপে ভারতীয় বাজার বেশ তলানিতে। দেশের জিডিপির হাল ক্রমশ নিম্নগামি। কখনো পোস্ট অফিস কখনো ব্যাঙ্কিং সেক্টর একেবারে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দেশের সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে বুনিয়াদি এবং সুদৃঢ় করতে এগিয়ে এসেছে বারংবার ।
তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন বর্তমান সময়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজার যাচাই করে বিনিয়োগ করা উচিৎ । এ বিষয়ে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ , কোনও ব্যক্তি যদি স্বল্প মেয়াদ অর্থাৎ অতি অল্প সময়ের জন্য ইনভেস্ট অর্থাৎ বিনিয়োগ করেন তাহলে ওই ব্যক্তির লাভের পরিমাণ বেশ কম । বরং বাজার ঘেঁটে যদি একটু বেশি সময় বা দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যায় তাহলে রিটার্নের পরিমাণ বেড়ে যাবে বেশ কয়েকগুন ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে রয়েছে এক গুচ্ছ ইনভেস্টমেন্ট (Investment Plan) প্ল্যান । এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যদি কোনও ব্যক্তি বাজার যাচাই করে এস আই পি (SIP System) সিস্টেম অর্থাৎ সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের আওতায় মিউচুয়াল (Mutual Fund) ফান্ডে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ করেন তাহলে মেয়াদ শেষে ওই ব্যক্তি পাবেন মোটা টাকা রিটার্ন ।
তাহলে বিষয় টি স্পষ্ট করেই বলাই ভালো । ধরা যাক কোনও ব্যাক্তি যদি প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে কোনও ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে বিনিয়োগ করেন তাহলে ৩০ বছর পর মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারী তার জমা কৃত টাকার ওপর বার্ষিক ২০ শতাংশ সুদের হারে রিটার্ন পাবেন ২ কোটি টাকা । এক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ ১৬ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দেওয়া হয় । আবার কোনও ব্যক্তি যদি মাত্র ২৫ বছর থেকেই বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে ৫৫ বছর বয়সে মেয়াদ শেষে অর্থাৎ ৩০ বছর পর ওই ব্যক্তির টাকার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ২ কোটি টাকা ।
এই ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের সুবিধা অনেক যেমন ,
প্রথমত , এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও বিনিয়োগকারী কে একবারে বা এককালীন অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করা যাবে।
দ্বিতীয়ত , বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের ওপর বার্ষিক ১৬ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পেয়ে থাকেন । এই সুদ চক্র বৃদ্ধি হারে অর্থাৎ সুদের ওপর সুদ , তার ওপর সুদ পেয়ে থাকেন ।
তবে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন , মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ অবশ্য বাজার গত ঝুঁকি সাপেক্ষ । তাই চারিদিক ভালো করে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করে চোখ কান খলা রেখে বিনিয়োগ করাই ভালো । তবে দীর্ঘমেয়াদী সিস্টেমেটিক (Systematic Investment Plan) ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের সুফল যে বহুগুন সে বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা । তাই আর দেরি না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বাজার যাচাই করে এখন থেকেই প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে জমান আর মেয়াদ শেষে ১ কোটি টাকা ঘরে তুলুন ।
আমরাই দেবো সঠিক খবর , সরকারি চাকরি – প্রকল্প – আকর্ষণীয় ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের খবর পেতে নজর রাখুন bongodhara.com
written by – Somnath Pal .
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #INVESTMENT #PLAN #MUTUAL FUND #BENEFIT