কথায় বলে ইচ্ছে থাকলে, উপায় হয়। তবে নগদে নয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। কন্যাশ্রী, রুপোশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী থেকে শুরু করে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। রাজ্যের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একাধিক জনমুখি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রকল্প শেষ হইয়াও বুঝি হইল না শেষ।
রাজ্যের সাধারণ মানের ছাত্র- ছাত্রী অর্থাৎ পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড তো ছিলই। মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়া সাধারণ মানের ছাত্র- ছাত্রীরা স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সুবিধা তো পাচ্ছেনই । পাশাপাশি গত কয়েক বছর আগে থেকেই রাজ্যের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে মুখ্যমন্ত্রীর মা, মাটি মানুষের সরকার চালু করেছে ‘ স্বামী বিবেকানন্দ (VIVEKANANDA SCHOLARSHIP) স্কলারশিপ ‘। এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন করলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে দু’বছরে মোট ২৪,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। তবে চালু হওয়া থেকে এখনও পর্যন্ত এই স্কলারশিপের আওতায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ৮ লক্ষ পড়ুয়া স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ বা বৃত্তির টাকা পেয়েছেন। শিক্ষা দফতর সুত্রে খবর এমনটাই।
তবে রাজ্য সরকার দ্বারা চালু করা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে আগে যে শতাংশ নম্বর পেতে হত তা ছিল ৭৫ শতাংশ । বর্তমানে এই সুবিধা অর্থাৎ স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক (MADHYAMIK) উত্তীর্ণ দের জন্য প্রাপ্ত নম্বরের ঊর্ধ্বসীমা ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। ফল স্বরুপ আবেদনকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। উল্লেখিত স্কলারশিপে আবেদনের জন্য ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেছে রাজ্য সরকার। চালু করা ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করা যাবে সহজেই।
এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক রাজ্য সরকার দ্বারা চালু হওয়া স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ-এ যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে –
১) এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ ছাত্র- ছাত্রীরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ বা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন । তবে আবেদনকারীকে অবশ্যই এ রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে ।
২) প্রথমে আবেদনকারী প্রার্থীকে সরকারি ওয়েব ( https://svmcm.wbhed.gov.in) সাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম ডাউন লোড করতে হবে তারপর ওই ফর্মে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
৩) আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর প্রার্থীর পরিবারের বার্ষিক আয়ের পরিমান হতে হবে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই তার পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমান পত্র জমা করতে হবে।
৪) এ ছাড়াও আবেদনের সময় প্রার্থীকে তার ব্যাংকের পাশ বই এব্বং আঁধার কার্ডের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার জন্য ।
৫) এই স্কলারশিপের আওতায় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের দু’বছরে বারো হাজার করে মোট ২৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয় পশ্চিমবঙ্গ (WB GOVT) সরকারের পক্ষ থেকে ।
তবে এখন পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৮ লক্ষ পড়ুয়া এই সুবিধা পেলেও আগামী দিনে এই প্রকল্পের সুবিধা আরও বেশি মাত্রায় দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারি তরফে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই চেয়েছেন কিভাবে রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়ারা উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করে সমাজ জীবনে ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠা পাই। মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষা এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ যে এক নতুন পথের দিশারি তা বলাই বাহুল্য
written by – Somnath Pal .
চাকরি কিংবা সরকারি প্রকল্প , সঠিক খবর – সবার আগে পেতে অবশ্যই নজর রাখুন bongodhara.com – এ
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #VIVEKANANDA #SCHOLARSHIP #WB #GOVT #MADHYAMIK #HS