কলকাতা – হাতে আর মাত্র কয়েক টা দিন । সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মে’ মাসের শেষ সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে পারে ২০২৩ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল । এ নিয়ে অবশ্য ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে ভাবনার অন্ত নেই । আসলে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা বলে কথা । ফল প্রকাশের পরই অবশ্য ছাত্র – ছাত্রীদের মধ্যে নতুন ক্লাসে ভর্তি হওয়ার তোড়জোড় । নতুন ক্লাস – নতুন পড়াশোনা এ নিয়ে পড়ুয়াদের উদ্দীপনারও খামতি নেই । কিন্তু অভিভাবক অর্থাৎ পিতা – মাতার চিন্তা একটাই , একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেনির পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব হবে তো ? আজ আমরা সেই সমস্ত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এমন এক খুশির খবর নিয়ে হাজির হয়েছি যা শুনলে খুশিতে ডগমগ হয়ে উঠতে পারেন মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রী কিংবা তাদের চিন্তিত অভিভাবকরাও । এবার জেনে নেওয়া যাক কি সেই খুশির খবর ।
আপনার সন্তানের পড়াশোনার খরচের কথা আপনাকে না ভাবলেও চলবে । এর জন্য সরকার রয়েছে তো । এর কারণ টা অবশ্য বেশ স্পষ্ট । রাজ্যের দুঃস্থ মেধাবি পড়ুয়াদের পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করেছে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ । এর পাশাপাশি রয়েছে কন্যাশ্রির মতো বিশ্ব বন্দিত প্রকল্প ।
এবার আরো এক ধাপ এগিয়ে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু করা হল নয়া স্কলারশিপ প্রকল্প । এই স্কলারশিপ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নবান্ন স্কলারশিপ’ ( Nabanna Scholarship) আবার এটিকে স্থান ভেদে ‘উত্তরকন্যা স্কলারশিপ’ (Uttarkanya Scholarship) ও বলা যেতে পারে । রাজ্য সরকার দ্বারা চালু হওয়া এই স্কলারশিপের আওতায় আর্থিক ভাবে দুর্বল অথচ মেধাবী মাধ্যমিক – উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা সরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্য পাবেন । মূলত মাধ্য – উচ্চ মাধ্যমিকে ফলাফলের ভিত্তিতেই ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নবান্ন (Nabanna) অথবা উত্তরকন্যা (Uttarkanya) স্কলারশিপ পেতে কি ধরণের নম্বর প্রয়োজন ?
এই স্কলারশিপের আওতায় আর্থিক সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীকে মাধ্যমিকে ৬৫ শতাংশ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে । এ ছাড়াও যে সকল ছাত্র- ছাত্রীরা গ্র্যাজুয়েশন অর্থাৎ স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন তারা ৫৫ শতাংশ নম্বর পেলেই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
স্কলারশিপের আওতায় আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ কত ?
এই স্কলারশিপের আওতায় পাঠরত পড়ুয়ারা বার্ষিক অর্থাৎ বছরে এককালীন ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন । তবে অধ্যয়নরত পড়ুয়ার কোর্সের সময়সীমা এবং সেগুলির খরচ অনুযায়ী শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ফলাফলের ভিত্তিতে এই স্কলারশিপে টাকার পরিমান বাড়তে পারে।
এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন ?
আবেদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যথাযোগ্য ওয়েব (www.wbcom.gov.in) সাইট গিয়ে আবেদনকারী ছাত্র- ছাত্রীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে । প্রথমে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইট থেকে আবেদন পত্র ডাউন লোড করে নিতে হবে । এরপর ওই আবেদন পত্রে আবেদনকারী পড়ুয়া কে সকল তথ্য পূরণ করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় জমা করে আবেদন পত্রের রিসিভ (Recieve Copy) কপি নিজের কাছে রেখে দিতে হবে । তবে আবেদন পত্রে নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি বসাতে ভুলবেন না ।
আবেদন পত্র পূরণের কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন ?
এ এক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত ডকুমেন্টস গুলি আবেদন পত্রের সঙ্গে নির্দিষ্ট ঠিকানায় জমা করতে হবে
১) নবান্ন স্কলারশিপের আবেদনপত্র,
২) (Self Declaration) অর্থাৎ আবেদনকারী প্রার্থীর সম্মতি পত্র
৩) পরীক্ষার মার্কশিট
৪) কোনো সরকারি গেজেটেড অফিসার দ্বারা আবেদনকারী পড়ুয়ার পরিবারের বাৎসরিক আয়ের প্রমান পত্র অর্থাৎ (Income Certificate)
৫) বর্তমান কোর্সে ভর্তির রশিদ অর্থাৎ (Addmission Slip) ,
৬) আবেদনকারী প্রার্থীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৭) এলাকার বিধায়কের কাছ থেকে প্রাপ্ত শংসাপত্র (MLA Recommendation Certificate)
আবেদন পত্র পাঠানোর ঠিকানা –
১) নবান্ন’ (Nabanna Scholarship) স্কলারশিপের জন্য – Nabanna,14th Floor, 325 Sarat Chatterjee Road, Shibpur, Howrah – 711102
২) উত্তরকন্যা’ (Uttarkanya Scholarship) স্কলারশিপের জন্য – Uttarkanya, P.O.Satellite Township, Fulbari, Jalpaiguri -734015
ছাত্র- ছাত্রী ও চাকরি প্রার্থীদের সঠিক দিশা দেখানোই আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য , নজর রাখুন – bongodhara.com
written by – Somnath Pal .
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #SCHOLARSHIP #NABANNA #UTTARKANYA #STUDENTS #EDUCATION #WB #GOVT