আগে শরীর গড়, তার পর যা হয় করো – স্বামীজি বলেছিলেন । কিন্তু তা আর হচ্ছে কোথায় ? কারণ ভালো সু-স্বাস্থ্যের শরীর গড়তে যেমন নিয়মিত শরীর চর্চা প্রয়োজন তেমনি দরকার স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য খাবারের । তবে পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় যে নামটি সবার মুখে মুখে সেটি অবশ্যই দুধ । আসলে দুধের কোনও বিকল্প নেই । একেবারে গোরা থেকে আজ পর্যন্ত সুষম খাবারের জন্য আজও গরুর দুধের জুড়ি মেলা ভার । কিন্তু জানেন কি বর্তমান দিনে সেই দুগ্ধবতী গরু অর্থাৎ গাভী আপনার স্বস্তা আয়ের একমাত্র পথ হতে পারে । শুনতে অবাক মনে হলেও বিষয়টি একবারে সত্যি । কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব । তাহলে আসুন গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে জেনে নেওয়া যাক দুগ্ধবতী গরুর ব্যবসা করে আপনি কিভাবে রাতারাতি লাখ পতি কিংবা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারেন । Govt Business idea
সরকারি কিংবা বেসরকারি , বিগত কয়েক বছর যাবত গোটা বিশ্ব ব্যপি আর্থিক মন্দার জেরে কাজের বাজার বেশ তলানিতে । এই অবস্থায় বেশির ভাগ বেকার যুবক – যুবতীরাই ছোটখাটো ব্যবসার ওপর যেমন নজর দিচ্ছে, তেমনি ব্যবসাকেই তারা নিজেদের জীবন জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হিসাবে বেছে নিচ্ছে । এই অবস্থায় আপনি যদি দুগ্ধবতী গরুর ফার্ম বা ব্যবসা করে নিজের ভবিষ্যৎ জীবন কে অর্থনৈতিক ভাবে সুরক্ষিত করতে চান তাহলে আজ আমরা আপনাকে এই ব্যবসার যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অবগত করবো । Business Idea
কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে প্রথমেই প্রয়োজন মূলধন অর্থাৎ পুঁজির । কিন্তু এই ব্যবসার ক্ষেত্রে যে মূলধন প্রয়োজন হবে তা আপনার জোগাড় করার দরকার নেই । এই মূলধন আপনাকে জোগান দেবে সরকার । তবে তার জন্য আপনাকে অর্থাৎ ব্যবসায়ীকে কিছু শর্ত মানতে হবে ।
সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সরকার দুগ্ধবতী গাভীর খাটাল তৈরিতে উৎসাহ দান করতে ওই রাজ্যের মানুষকে সরকারি তরফে আর্থিক সাহায্য করছে । এই ব্যবসার ক্ষেত্রে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পশুধন বিকাশ যোজনার আওতায় কৃষকদের এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে গবাদি পশু পালনকারী মহিলাদের ঝাড়খন্ড সরকার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকিতে গরু দেয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে ৭৫% অনুদান দিচ্ছে সরকার। এতে সরকারের লক্ষ্য দুটি। প্রথমত গোবরের উৎপাদন বাড়ানো, তাতে প্রাকৃতিক ও জৈব চাষ যেমন বাড়বে তেমনি পর্যাপ্ত গরু বৃদ্ধির ফলে দুধের উৎপাদন ও বাড়ছে সমহারে । Business Idea
পশুধন প্রকল্পে আবেদনের জন্য ঝাড়খণ্ড সরকার ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইট চালু করেছে । আপনি চাইলে সহজেই অনলাইনে সরকারি ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন অন্যদিকে অফলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পশু আধিকারিকের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন । তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারী কে অবশ্যই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে ।
তবে শুধু ঝাড়খণ্ড সরকারই নয় গবাদি পশুর চাষ অর্থাৎ পশুপালন বৃদ্ধির সাথে সাথে দুধের উৎপাদন বাড়াতে মধ্যপ্রদেশ সরকারও ওই রাজ্যে পশুধন প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সাহায্য করার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে । এক্ষেত্রে এই ব্যবসার ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি অর্থাৎ সরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন ওই রাজ্যের গবাদি পশু পালকরা । তবে আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে । ভবিষ্যতে এই প্রকল্প চালু হলে রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের আয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন রাস্তা চালু হবে বলেই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ।
written by – Somnath Pal .
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #NEW #BUSINESS IDEA #SELF EMPLOMENT TIPS #PASHUDHAN PRAKALPA #MILK #COW FARMING