কলকাতা – নয় নয় করে সংখ্যাটা নেহাত কম নয় । এক ধাক্কায় ৯৭ । হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন । ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ রাজ্যের মাটিতে রাজনৈতিক হিংসায় প্রান যাওয়া মানুষের সংখ্যা । পাঁচ বছর পর আবার সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । পাঁচ বছর আগের সেই রাজনৈতিক হিংসার স্মৃতিকে উস্কে দিলেন তারা। আর দেওয়াই স্বাভাবিক । এ যেন রাফ অ্যান্ড টাফ । ইটের বদলে পাটকেল । রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত অবশ্য এমনটাই । ডি এ -র দাবিতে আন্দোলন ও অনশনরত সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে ইতিমধ্যেই রাজনিতির মোড়কে মুরিয়ে নাতক আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । ঠিক সেই সময়ই ইটের বদলে পাটকেলের মতো কার্যত রাজ্য সরকার কে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা ।
তাদের বক্তব্য , বকেয়া পাওনা তো মেটাতেই হবে তার সঙ্গে দিতে হবে জীবনের নিরাপত্তা ও । চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা । এর পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন । তার আগেই রাজ্য সরকার কে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানালো আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা । তবে এই প্রথম নয় , গত কয়েকদিন আগেই ন্যায্য পাওনা অর্থাৎ বকেয়া ডি এ -র দাবিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ না করার হুমকি দেওয়া হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে । এবার বকেয়া DA -র পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জীবনের নিরাপত্তা একশো শতাংশ সু-নিশ্চিত করার দাবি জানালো আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা । কারণ হিসাবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে , গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ছবিটা সারা বাংলার মানুষের কাছে অজানা নয় । সেই প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিউটিতে যাওয়া সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা সু- নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশন কেই ।
এই দুই দাবিতে এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কে স্মারক লিপি জমা দেওয়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে । পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং রাজ্যের মুখ্য সচিব হরে কৃষ্ণ দ্বিবেদি কে চিঠি দেওয়া হয় আন্দোলন রত সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে । তাঁদের দাবি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছিল, তাতে এবার কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলেন তাঁরা। এ বিষয়ে এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধি কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন কমিশনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য সরকার যতক্ষণ না ডিএয়ের দাবি মেনে নিচ্ছে, ততক্ষণ পঞ্চায়েত ভোটে অংশগ্রহণ করা হবে না। সরকার মহার্ঘ ভাতার দাবি মেনে নিলেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তবেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পঞ্চায়েত ভোটে ডিউটি করবেন’ ।
আআসলেতুমি মরো- বাঁচো তাতে কিছু যায় আসেনা । সরকারি কর্মীদের ডিএ(DA) নিয়ে রাজ্য সরকারের চরম উদাসীনতা সেই ঘটনারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ মাত্র । কিন্তু রাজ্য সরকারি (GOVT EMPLOYEE) কর্মীরাও তাদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে হাল ছাল ছাড়তে নারাজ । আসলে হকের দাবি বলে কথা । বকেয়া ডিএ – র দাবিতে আদালতের দরজায় করা নেড়েও শেষ পর্যন্ত সুরাহা না মেলায় শেষ পর্যন্ত এক যোগে চলতি বছরের শুরু থেকে গন অবস্থানের ডাক দিয়েছে রাজ্য সরকারী কর্মী ইউনিয়নের ২৮ টি সংগঠন । বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্য সরকারি কর্মচারী বৃন্দের তরফে কলকাতার শহীদ মিনারের পাদদেশে বিক্ষোভ ও গন অবস্থান কর্ম সূচীর পাশাপাশি আমরণ অনশন চলছে জোর কদমে ।
ইতিমধ্যেই নয় নয় করে সেই অবস্থান কর্মসূচী পার করেছে বেশ কয়েকদিন । রাজ্য সরকারি কর্মীদের আমরণ অনশন মঞ্চে ইতিমধ্যীই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ঠাই হয়েছে দুই সরকারি কর্মীর । তার পরেও হুঁশ ফেরেনি রাজ্য (WB GOVT) সরকারের । ২৮ টি কর্মী সংগঠনের এই গনঅবস্থান কর্মসুচিকে ভেস্তে দিতে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত জারির পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন মঞ্চ কে বোমা মেরে উরিয়ে দেওয়ার হুমকি পস্তার ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা । এরই মাঝে মঙ্গলবার আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই জোড়া ফলায় কার্যত উদ্বেগ ছরিয়েছে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক মহলে । এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের অবস্থা যে বেশ বেগতিক তা বলাই বাহুল্য ।
written by – Somnath Pal.
More Job News : Click Here
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #DA #GOVT #SALARY #DEARNESS ALLOWANCE #WB #HUNGER STRIKE #GOVT EMPLOYEE