রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ ১০ প্রকল্প, আবেদন করলে পাবেন মাসিক ও বার্ষিক ভাতা – West Bengal Government Top 10 Schemes

Rajjak Ali

Written by Rajjak Ali

Published on:

West Bengal Government Top 10 Schemes : রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কল্যানমূলক একাধিক সামাজিক, শিক্ষামূলক, আর্থিক ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের নানা শ্রেণির মানুষকে সুবিধা প্রদান করছে,  যেমন -শিক্ষার্থী, মহিলা, কৃষক, প্রবীণ নাগরিক, এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার সহ বেকার। তাই

এই প্রতিবেদনে আমরা এমন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্পের সম্পর্কে খুঁটিনাটি তুলে ধরছি, যেগুলি আজ এবং ভবিষ্যতে আপনার কিংবা আপনার পরিবারের উপকারে আসতে পারে। চলুন আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক –

West Bengal Government  Top 10 Schemes

১. লক্ষ্মীর ভান্ডার

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের অন্যতম জনপ্রীয় একটি সামাজিক নিরাপত্তামূলক প্রকল্প। এটি মূলত মহিলাদে জন্য মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপশিলি জাতির মহিলারা ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা প্রতি মাসে ১,২০০ এবং সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ১,০০০ টাকা পান।

প্রকল্পের সুবিধা :

যোগ্যতা: মহিলাের বয়স ২৫-৬০ বছর, রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, পারিবারিক বার্ষিক আয় নির্দিষ্ট সীমার নিচে থাকতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সরাসরি এর আবেদন করতে পারেন।

ডকুমেন্টস সমূহ: ভোটার কার্ড, আধার, ব্যাঙ্ক পাসবইম ও রেশন কার্ড এবং কাস্ট সার্টিফিকেট

২. স্বাস্থ্য সাথী

স্বাস্থ্য সাথী রাজ্য সরকারের একটি পরিবারভিত্তিক স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প, এর মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার বছরে ৫ লক্ষ পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকে।

এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য – পরিবারের কোনও পুরুষ নয়, মহিলার নামেই কার্ড ইস্যু হয়ে থাকে।

সুবিধা:

সরকার অনুমোদিত বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালে ভর্তুকির মাধ্যমে সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

৩. কন্যাশ্রী প্রকল্প

কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হলো মেয়েরা যাতে স্কুল ছেড়ে না যায় এবং ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে না করে ।

কন্যাশ্রী প্রকল্পে দুই পর্যায়ে সুবিধা দেওয়া হয়:

K1 (Class 8-12): বার্ষিক ৭৫০ টাকা দেওয়া হয়

K2 (বয়স ১৮ হলে): এককালীন ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হয়

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের অনেক মেয়েরাই এখন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে।

 

৪. সবুজ সাথী প্রকল্প

সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে সাইকেল প্রদানকারী প্রকল্প। রাজ্য সরকার কর্তৃক সরাসরি ও ফ্রীতে সাইকেল প্রদান করা হয়ে থাকে।

মূল উদ্দেশ্য :

  • স্কুল ড্রপআউট রোধ করা

পড়ুয়াদের পড়াশোনায় সময় বাঁচানো এবং নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা

উচ্চমাধ্যমিক ফলাফল ২০২৫ প্রকাশ তারিখ , দেখুন কীভাবে চেক করবেন – WBCHSE Result 2025 Check

৫. দুয়ারে সরকার কর্মসূচী

এটি একটি অভিনব কর্মসূচী। এই উদ্যোগে রাজ্য সরকারের সরকারি কর্মীরা মানুষের দরজায় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেয়। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষেরা একাধিক প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। – এক জায়গাই সরকারি সব অফিস কর্মী থাকে।

কী কী সুবিধা পাওয়া যায়? 

  • রেশন কার্ড সংশোধন
  • লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধুতে আবেদন
  • স্বাস্থ্যসাথী রেজিস্ট্রেশন
  • বয়স্ক ভাতা প্রকল্পে আবেদন
  • রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচী সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছে।

৬. খাদ্যসাথী প্রকল্প –

খাদ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার কয়েক কোটি মানুষকে ফ্রীতে চাল ও গম সরবরাহ করে এবং অনেক পন্য সল্প দামে দেওয়া হয় ।

 এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য – সাধারন মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৭. স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

সাধারনত পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ পাওয়া যায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। সুদের হার খুব কম এবং পড়াশোনা শেষে চাকরি পেলে ধাপে ধাপে ঋণ শোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়।সরকারও ভর্তুকি দেয়।

কারা সুবিধা নেন:

  • উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ
  • কলেজ / ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া পড়ুয়া
  • পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ কভার (ফি, বই, হোস্টেল, ইন্টার্নশিপ ইত্যাদি)

 

৮. জয় জোহর ও তপশিলি জাতি-উপজাতির পেনশন স্কিম –

পশ্চিমবঙ্গ সরকার তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ পেনশন প্রকল্প চালু করেছে যার নাম হল জয় জোহর স্কিম ।

মাসিক ভাতা: ১,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।

যোগ্যতা কী : বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে হবে, রাজ্যের নাগরিক হতে হবে এবং আয় সীমিত থাকতে হবে।

৯. মানবিক প্রকল্প –

রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষদের মাসিক ভাতা ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করে।

১০. কৃষক বন্ধু

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা বছরে দুবার (প্রতি মরশুমে ৫০০০) সর্বমোট ১০,০০০ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। এর মাধ্যমে ফসল রোপণের খরচ, সার, বীজ ইত্যাদিতে এটি সাহায্য করে।

রাজ্যে ফের বন্ধ লাখ লাখ রেশন কার্ড! খাদ্য দপ্তর কর্তৃক নয়া ঘোষণা –

রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের জন্যই উপকারে আসে – ছেলে থেকে বুড়ো, মহিলা থেকে মেয়ে কেউই বাদ পড়ে না। আপনি যদি এখনও কোনও প্রকল্পে আবেদন না করে থাকেন, তবে এখনই সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সুবিধা নিয়ে ফেলুন। এই সব প্রকল্প শুধুই সরকারি উদ্যোগ নয়, এগুলি মানবিক সহানুভূতিরও রূপ বটে।

আরও এমন নতুন নতুন আপডেট পেতে Bongodhara.com-এর সঙ্গেই থাকুন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন

ঘরে বসেই মাসিক আয় ৩০-৪০ হাজার, বাজারে একদম নতুন ব্যবসার আইডিয়া – New Business Idea in Market

New Business Idea in Market: চাকরি ছাড়তে চান? অফিসে আটকে পড়া জীবন থেকে বেরিয়ে কিছু স্বাধীন কিছু করতে চান? অথবা এখোনো বেকার হয়ে রয়েছে? তাই যে কোনো অবস্থাতে হোক না কেনো, এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ঘরে বসেই রোজগার করতে চান, তবে জানেন না কোথা থেকে শুরু করবেন নিজের আয়। তাঁদের জন্যই এক নতুন সুযোগ এনে দিল “সফট টয়স তৈরির ব্যবসা”।

New Business Idea in Market

ঘরের পুরনো সেলাই মেশিন, সামান্য কাপড় আর একটু কল্পনাশক্তিই পারে আপনাকে মাসে ₹৩০,০০০ থেকে ₹৪০,০০০ অবধি রোজগারের পথ দেখাতে। তাহলে দেরি না করে আসুন আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কী এই সফট টয়স ব্যবসা?

শিশুদের প্রিয় খেলনা সফট টয়স এখন শুধুমাত্র বিনোদনের সামগ্রী নয়, বরং একটি লাভজনক ব্যবসায়িক সম্ভাবনাও বটে। বাজারে এই খেলনার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে , বিশেষত ব্যক্তিগতকৃত (personalised) গিফট বা থিমযুক্ত উপহারের ক্ষেত্রে এর ব্যপক চাহিদা রয়েছে।

এবার খুব বেশি বিনিয়োগ ছাড়াই ঘরেই এই ব্যবসা শুরু করা যায়। প্রয়োজন শুধু –

  1. একটি সেলাই মেশিন থাকতে হবে
  2. কিছু তুলা বা ফাইবার স্টাফিং
  3. নানা রঙের কাপড়
  4. এবং সহজ কিছু ডিজাইনের নকশা লাগবে

কত খরচে শুরু করা যায়?

এই ব্যবসার শুরুর খরচ খুবই সীমিত – আনুমানিক ₹১০,০০০ থেকে ₹১৫,০০০ লাগবে।  অনেকের বাড়িতে সেলাই মেশিন আগেই থাকে, ফলে তাদের জন্য খরচ আরও কমে যাবে।

বাড়ির একটি কোণে বসেই শুরু করা যায় এই উদ্যোগ। প্রয়োজন নেই দোকান কিংবা আলাদা শোরুমের।

কোথায় বিক্রি করবেন?

বর্তমানে Instagram, Facebook, WhatsApp-এর মতো সামাজিক মাধ্যমে ছোট উদ্যোগগুলিও ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে সহজেই অথবা একটু বড় করে ভাবলে অন্যান্য সেলিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে।

শুধু একটি Instagram পেজ খুলে নিজের তৈরি সফট টয়সগুলোর ছবি পোস্ট করলেই শুরু হতে পারে আপনার প্রাথমিক বিক্রি। ধীরে ধীরে লোকজন আপনাকে চিনবে, অর্ডার আসতে শুরু করবে এই ব্যবসায়।

কতটা আয় হতে পারে?

একজন ব্যক্তি যদি দিনে ৪-৫টি সফট টয় তৈরি করেন, তাহলে মাসে ১০০টির বেশি টয়স তৈরি সম্ভব হতে পারে। প্রতি খেলনার দাম গড়ে ₹২০০ ধরলে, মাসিক আয় হতে পারে ₹২০,০০০ থেকে ₹৩০,০০০ টাকা।

উৎসবের মরসুমে চাহিদা আরও বাড়ে। তখন আয় পৌঁছে যেতে পারে ₹৪০,০০০ পর্যন্ত ।

জনপ্রিয়তা বাড়ানোর উপায় কী?

  • শিশুদের নাম যুক্ত করে পার্সোনালাইজড সফট টয় তৈরি করতে পারেন
  • থিম অনুযায়ী গিফট সেট বানান (বাচ্চার জন্মদিন, পূজা, বড়দিন ইত্যাদি) নানা বিশেষ দিবস
  • ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রচার করতে পারেন
  • স্থানীয় গিফট দোকান বা স্কুলের সঙ্গে পার্টনারশিপ করুন

কারা এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন?

এই ব্যবসা মূলত উপযোগী –

  • গৃহবধূদের জন্য
  • কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য
  • অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য
  • ছোট শহর বা গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের জন্য

এককথায় যাঁরা বাড়ির বাইরে না গিয়ে রোজগার করতে চান, তাঁদের জন্য এই ব্যবসা একেবারে আদর্শ।

এক নজরে সারাংশ

  1. বিনিয়োগ: ₹১০,০০০ – ₹১৫,০০০
  2. জায়গা: বাড়ির এক কোণেই যথেষ্ট হবে
  3. উপকরণ: সেলাই মেশিন, কাপড়, তুলা, ডিজাইন
  4. বিক্রয় মাধ্যম: Instagram, Facebook, WhatsApp
  5. সম্ভাব্য আয়: ₹৩০,০০০ – ₹৪০,০০০ প্রতি মাসে
  6. মূল টিপস: ইউনিক ডিজাইন এবং কাস্টমাইজেশন থাকতে হবে

তাই সফট টয়স তৈরি এখন আর শুধুই একটি সৃজনশীল শখ নয়, বরং তা পরিণত হচ্ছে ঘরে বসে মাসিক আয় করার এক জনপ্রিয় এবং কার্যকর ব্যবসায়িক মডেলে। অল্প পুঁজিতে এবং কম ঝুঁকিতে একদিকে যেমন রোজগার বাড়ে, অন্যদিকে নিজের পরিচিতিও গড়ে ওঠে এর মাধ্যমে ।

শুধু দরকার আত্মবিশ্বাস, একটু পরিশ্রম এবং বাজার বুঝে এগিয়ে চলার মতো ইচ্ছা। আপনার ঘরের সেই পুরনো সেলাই মেশিনটাই হতে পারে আপনার আগামী দিনের ব্যবসার ভিত্তি।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্যে জয়েন্ট পরীক্ষার ফলাফল শীঘ্রই, কবে প্রকাশিত হচ্ছে? দেখুন বিস্তারিত -WBJEE Result 2025

WBJEE Result 2025 :রাজ্যের লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীদের অধীর অপেক্ষার অবসান এখনও পর্যন্ত হয়নি। রাজ্যের ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন বোর্ড (WBJEEB) প্রস্তুত থাকলেও ফল প্রকাশ করতে পারছে না এখনও। কারণ? বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন। সরকার থেকে সবুজ সংকেত না আসা পর্যন্ত ফল ঘোষণা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল সংশ্লিষ্ট বোর্ড। তবে কবে প্রকাশিত হবে, এই প্রতিবেদনে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক 

WBJEE Result 2025

কবে প্রকাশিত হবে WBJEE Result 2025?

প্রতি বছর রাজ্যের WBJEE পরীক্ষার ফল সাধারণত মে মাসের শেষে বা জুন মাসের শুরুতেই প্রকাশিত হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর সমস্ত প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেলেও এখনো ফল প্রকাশ করা যায়নি বোর্ডের তরফে।
WBJEEB-এর চেয়ারম্যান সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বোর্ড ৫ জুন ২০২৫ তারিখেই ফলাফল প্রকাশের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল সংশ্লিষ্ট বের্ডের। কিন্তু এরপর আদালতে ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলা ওঠার কারণে পুরো প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়।

বর্তমানে বিষয়টি বিচারাধীন এবং বোর্ড সরকারের নির্দেশ ছাড়া ফল প্রকাশ করতে পারবে না তারা। সোনালির বক্তব্য,

“রাজ্য সরকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত যা সিদ্ধান্ত দেবে, তার উপর নির্ভর করেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এখন আমরা সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছি।”

ছাত্রছাত্রীদের হতাশা বাড়ছে

ফল প্রকাশে এই দীর্ঘ বিলম্বে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চরম হতাশা ও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বর্তমানে JEE Mains, JEE Advanced, NEET UG-র মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু WBJEE Result 2025 প্রকাশিত না হওয়ায় বহু ছাত্রছাত্রী বাধ্য হয়ে অন্য রাজ্যের বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে কারন তারা পিছিয়ে পড়ছে। এতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ারও সম্ভাবনা প্রবল তৈরি হচ্ছে।

শিক্ষক মহলের আশঙ্কা, এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে ক্যারিয়ার ফেয়ার

প্রতি বছর জয়েন্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় প্রি-কাউন্সেলিং ক্যারিয়ার ফেয়ার আয়োজিত করা হয়ে থাকে।
কিন্তু এবছর ফল প্রকাশ ছাড়াই ফেয়ার শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল (APAI-WB)-এর উদ্যোগে প্রি-কাউন্সেলিং এডুকেশন ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

APAI-এর প্রেসিডেন্ট তরণজিৎ সিংহ বলেন,

“আমরা যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছি। যদি দ্রুত ফল প্রকাশ না হয়, তাহলে রাজ্যের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।”

মন্ত্রী কী বললেন?

এই বিষয়ে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান,

“ওবিসি সংরক্ষণ ইস্যুর জন্যই এই বিলম্ব হচ্ছে। তবে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর জীবনের সঙ্গে এটি সরাসরি যুক্ত হবে অবশ্যই। আশা করছি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং শীঘ্রই ফল প্রকাশ করা যাবে।”

এদিকে সরকার এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধান সূত্র খোঁজা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

WBJEE Result 2025: দেরির কারণ

মূল কারণ:

  1. ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলা বর্তমানে কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
  2. সংরক্ষণের বিষয়টি আরও পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বোর্ড ফল প্রকাশ করতে পারছে না।
  3. সরকারি নির্দেশ ছাড়া বোর্ডের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

বিলম্বের সম্ভাব্য প্রভাব

  •  রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে।
  •  অনেকেই বেসরকারি কলেজে ভর্তি হচ্ছে।
  •  রাজ্যের নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আসন খালি থেকে যাওয়ার ঝুঁকি।
  •  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা।

পড়ুয়াদের জন্য পরামর্শ

  • WBJEE Result 2025 নিয়ে সরকার ও বোর্ড থেকে আপডেট নিয়মিত চেক করতে থাকুন ।
  • বিকল্প হিসেবে অন্য রাজ্যের অথবা সর্বভারতীয় কলেজে আবেদন করতে পারেন।
  • পরবর্তী কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার সময়সূচি বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত চোখ রাখুন।
  • প্রয়োজন হলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

আমরা সকলে জানি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যত এখন অনেকটাই সরকারি সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল রয়েছে। সরকার দ্রুত নির্দেশ দিলে WBJEE Result 2025 প্রকাশে আর কোনও বাধা থাকবে না বলে জানানো হয়।
বর্তমানে রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অধীর অপেক্ষায় রয়েছে ফলাফল প্রকাশের জন্য।
তাই আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে এবং WBJEE এর ফলাফলের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Rajjak Ali
Rajjak Ali

Rajjak Ali is an experienced content writer with over 5 years of expertise in crafting engaging and informative content. With a passion for writing, Rajjak has successfully delivered high-quality articles, blog posts, and website content for various niches. Rajjak's dedication to delivering captivating content has earned him a reputation for excellence in the field.