Primary Tet: বাতিলের পথে 43 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি, এবার কী হবে? রইল বিস্তারিত

কলকাতা – আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি । ওইদিনই হতে পারে দফারফা । আদালত সুত্রে খবর এমনটাই । ওইদিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার শিক্ষক (TEACHER) দের নিজের এজলাসে তলব করেছেন মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি । পাশাপাশি এবার সরাসরি রাজ্যের ৪৩হাজার প্রাথমিক(PRIMARY) শিক্ষকের চাকরি বাতিলের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্তু কেনই বা একাধিক জেলার বর্ষীয়ান শিক্ষকদের আদালতে ডাকা হল আর কেনই বা নিয়োগ হওয়া ৪৩ হাজার চাকরি প্রাপকদের চাকরি বাতিলের চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি । 

আসলে  আন্দোলনরত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে তিনি ভগবান স্বরুপ । এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের গোটা শিক্ষা দফতরটাই বেলাগাম দুর্নীতির জেরে জেলের গরাদির ঘানি টানছে । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি – সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তে একের পর এক উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ একটাই,  তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীরাই চাকরি পেয়েছে ।  আন্দোলনরত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই । তার পরের টা আর না বলাই ভালো । দুর্নীতির জেরে রাজ্যের মন্ত্রী মিনিস্টার থেকে শুরু করে চুনোপুঁটি একাধিক শিক্ষা কর্মীরা একের পর এক ঢুকে গিয়েছে জেলের গরাদির পিছনে । আজ না হয় সে সব কথা বাদই থাক । 

এবার আসা যাক আসল প্রশ্নে । ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা যে তথ্য আদালতে পেশ করেছেন, তার ভিত্তিতে ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজ্যের ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি প্রাপকদের বিষয়ে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য । এ বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার নিয়ম মতো ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হলেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনও প্রকার অ্যাপটিটিউড টেস্ট -ই নেয়নি পর্ষদ । শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নিয়ে তার সঙ্গে অ্যাপটিটিউড (APTITUDE TEST) টেস্টের নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । অথচ অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টার্ভিউয়ের ক্ষেত্রে আলাদা নম্বর ধার্য করা হয়েছিল । প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায়  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের পরেই এক প্রকার রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওপর রুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । 

এ প্রসঙ্গে দিন কয়েক আগেই রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হাইকোর্টে হলফ নামা পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। কিন্তু পর্ষদের তরফে সন্তোষ জনক উত্তর না মেলায় এবং ওএমআর (OMR SHEET)  শিটে কারচুপির অভিযোগে ওই সময় অর্থাৎ ২০১৬ সালে জেলায় জেলায় যে শিক্ষকরা ওই অ্যাপটিটিউড ( Aptitude Test)  টেস্ট বা ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে ছিলেন এবার তাদের কেই আদালতে এসে ঘটনার সবিস্তার বর্ণনার নির্দেশ দিলেন মহামান্য  বিচারপতি।  আসলে তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মূল শিকড় সন্ধানের পাশাপাশি তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন । তিনি আর কেউ নন স্বয়ং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।   

দূর্দান্ত অফার, 1 হাজার টাকায় 1 লক্ষ, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে এক্ষুনি আবেদন করুন-Post Office Scheme 

এই বিষয়েই একধাপ এগিয়ে দিন কয়েক আগে রাজ্যের পাঁচটি জেলার হুগলী , মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, দিনাজপুর ও কোচবিহার জেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষক কে আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি আদালতে  স্ব-শরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই রিপোর্ট যদি হাজিরা দেওয়া শিক্ষকদের বয়ানের সঙ্গে মিলে যায় অর্থাৎ দুয়ে দুয়ে যদি চার হয়, তাহলে রাজ্যের ৪৩ হাজার চাকরি প্রাপক প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি নিয়োগের গোটা প্যানেল ধরেই বাতিলের আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি । ফলে আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি  রাজ্যের ৪৩ হাজার চাকরি প্রাপকের ভাগ্য যে খাঁড়ার ওপর ঝুলছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই এখন দেখার । 

written by – Somnath Pal . 

More Job News : Click Here


Telegram Channel : Click Here

TAG – #TET #2014 #APTITUDE TEST #PRIMARY TET #RECRUITMENT #CORRUPTION #HIGH COURT #TEACHER

Leave a Comment