কলকাতা – ‘পুলিশ তুমি যতই মারো, মাইনে তোমার একশো বারো’, স্লোগান টা বেশ পুরনো । তবে সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে এই স্লোগানের একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে বৈ কি । রাজ্যের শাসক হোক কিংবা বিরোধী দল পুলিশ প্রশাসনই যে তাদের প্রধান চালিকা শক্তি তার প্রমাণ মিলেছে বারংবার । তবু রাজনৈতিক সভায় সেই পুলিশ কর্মীদেরই শ্রাদ্ধ শান্তি থেকে বাপ বাপন্ত করে ছাড়েন রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা । কিন্তু যা কিছু হোক ভরসা সেই পুলিশেই । WB Civic Volunteers To Police
আসলে ব্যবধান মাত্র কয়েক দিনের । রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন । এই অবস্থায় একাধিক ইস্যুতে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি । ন্যায্য পাওনার দাবিতে রাস্তায় বসে রয়েছে সরকারি কর্মীরা । পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ না করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তারা । তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচন ভেস্তে যেতে পারে । এই আবহে সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে দৃষ্টান্ত মূলক পদক্ষেপের শুর শোনা গেল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় । যা নিয়ে শাসকদলের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য রয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে নবান্নের।
কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কি এমন প্রস্তাব দিলেন যা নিয়ে বিরোধীরা সুর চড়াতে শুরু পারে । জানা গিয়েছে সোমবার নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরে নিজের স্বরাষ্ট্র দফতরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন , রাজ্যের থানায় থানায় কনস্টেবল পদে যে শূন্য পদ রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার মধ্যে থেকেই এই শূন্য পদ পূরণ করা যায় কিনা । এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের ভাবনা চিন্তা করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী । তবে এ বিষয়ে তিনি তিন তিনটি শর্ত বেঁধে দিয়েছেন । একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত আদৌ কার্যকর হবে কি না, হলে তা কবে থেকে, সে ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের হাতেই থাকা স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তাদের এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া তিনটি শর্ত হল ,
প্রথমত, কাজের ক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। তাঁরা প্রতিটি কাজ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করছেন কি না তার উপরেই হবে মূল্যায়ন।
দ্বিতীয়ত, এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে সেই জায়গাতেই যেখানে থানায় কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে।
তৃতীয়ত, সুযোগ তাঁরাই পাবেন যাঁদের নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করবেন। এই দায়িত্ব মূলত থাকবে জেলার পুলিশ সুপারের উপরে। তিনি নির্ভর করবেন যে থানা এলাকায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন সেখানকার ওসি এবং এসডিপিও-র রিপোর্টের উপরে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অনেক কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে। কারণ, অনেক কনস্টেবলের পদোন্নতি হয়েছে। আগামী দিনে আরও পদ খালি হবে। সেখানে দক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা যায় কি না তা ভাবার জন্য স্বরাষ্ট্র দফতরকে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের পরেই যে রাজ্যের বিরোধী দল গুলি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হবে তা বলাই বাহুল্য ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ফের বড় সিদ্ধান্ত, বাকি পরীক্ষায় এই কঠোর নিয়ম পর্ষদের -WB Madhyamik Exam Update
কিন্তু বিরোধীরা যাই বলুক বর্তমান সময়ে রাজ্য থানায় থানায় পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সমান তালে ডিউটি করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা । এ চরম সত্য সবারই জানা। মুক্যমন্ত্রির এই প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত যদি ফলপ্রসূ হয় তাহলে বর্তমান করুন চাকরির বাজারে রাজ্যের কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার- এর যে স্বল্প বেতনে কঠোর পরিশ্রমের দীর্ঘ মেয়াদি ফসল মিলতে পারে টা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । তবে বর্তমান সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ার দের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অভিযোগের পাল্লাও যথেষ্ট ভারী । এই অবস্থায় কনস্টেবল পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ পেলে তারা যে কাজের বিষয়ে আরও বেশি সচেতন এবং মনযোগী হবে তা বলাই বাহুল্য ।
written by – Somnath Pal .
More Job News : Click Here
Join Telegram Channel : Click Here
TAG – #WB POLICE #POLICE #CONSTABLE #CIVIC VOLUNTEER #NABANNA #MAMTA BANERJEE